ডিসিসি নির্বাচন করেছিলেন রোহানের বাবা

ডিসিসি নির্বাচন করেছিলেন রোহানের বাবা

ছবি প্রকাশের পর ফেসবুকে গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় এক হামলাকারীর পরিচয় জানা গেছে।

তার নাম রোহান ইমতিয়াজ। তিনি স্কলাসটিকা স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী।

মা ও বাবার সঙ্গে রোহানের একাধিক ছবি ফেসবুকে এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে, রোহানের বাবা এস এম ইমতিয়াজ খান বাবুল রাজধানীর ৩১ নং ওয়ার্ডে (মোহাম্মাদপুর) গত বছরের ২৮ এপ্রিল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে অংশ নিয়েছিলেন।

ফেসবুকে ছেলেকে ফিরে আসার আহ্বান বাবা ইমতিয়াজ বাবুলের

আওয়ামী লীগ সমর্থিত এই কাউন্সিলর প্রার্থীর প্রতীক ছিল ‘রেডিও’। তিনি ভোট ঘিরে স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানকের ছবি এবং স্বাক্ষর সম্বলিত লিফলেটও ছাপিয়েছিলেন।

সেখানে নিজের রাজনৈতিক পরিচয় হিসেবে ৩১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দাবি করেন তিনি।

ইমতিয়াজ খান বাবুলের নির্বাচনী লিফলেটের তথ্য অনুযায়ী, তিনি ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কাউন্সিলর পদে ভোট চেয়ে লিফলেট

এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল, সাইক্লিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও ফিবার রেফারি।

রোহানের মা স্কলাসটিকা স্কুলের শিক্ষিকা। মা-বাবার একমাত্র ছেলে সন্তান রোহানের দুই বোন আছে এবং তারা মোহাম্মদপুরে বসবাস করেন বলে জানা গেছে।

মাহবুব রাজীব নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে বাবা-মাসহ নিহত রোহানের একটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। সঙ্গে দেয়া হয়েছে সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ থেকে প্রকাশিত ছবি, যেখানে দুই ছবির মধ্যে মিল পাওয়া যায়।

পুলিশের সরবরাহ করা ছবির সঙ্গেও ওই ছবির মিল পাওয়া যায়। তবে পুলিশ হত্যাকারীদের যে নাম প্রকাশ করেছে, সেখানে রোহানের নাম নেই। ইমতিয়াজ বাবুলের পক্ষে নানকের লিফলেট

জানা গেছে, রোহান গেল মার্চ থেকে নিখোঁজ ছিলেন। এক ফেসবুক পোস্টে সন্তানকে ফিরে আসার আকুতি জানিয়েছিলেন ইমতিয়াজ খান বাবুল। যদিও সেই আইডি এখন আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

উল্লেখ্য,ঢাকার কূটনীতিকপাড়া গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে শুক্রবার রাতে একদল অস্ত্রধারী হামলা চালিয়ে দেশী-বিদেশীদের জিম্মি করে। পরে শনিবার সকালে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে কমান্ডো অভিযানের মধ্য দিয়ে এই জিম্মি সংকটের অবসান হয়। অলিম্পিক এসোসিয়েশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল বাবুল

সেখান থেকে ১৩ জন জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার এবং ২০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতদের মধ্যে ১৭ জনই বিদেশী বলে আইএসপিআর জানায়।

রেস্তোরাঁয় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ৬ হামলাকারী নিহত এবং একজনকে জীবিত গ্রেফতার করা হয় বলে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন।

ওই হামলায় জড়িত দাবি করে সাইট ইন্টিলিজেন্স যে পাঁচজনের ছবি প্রকাশ করেছে সেগুলোর সত্যতা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা যায়নি।

এই হামলায় জড়িতদের পাঁচজন চিহ্নিত জঙ্গি বলে পুলিশের আইজি এ কে এম শহীদুল হক ইতিমধ্যে বলেছেন। তাদের খোঁজা হচ্ছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি।

পুলিশের পক্ষ থেকে হামলাকারীদের যে নামগুলো জানানো হয়েছে, তা হল- বিকাশ, ডন, রিপন, আকাশ ও বাঁধন। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানানো হয়নি।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment